বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর মো. নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেছেন, সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জনপ্রিয়তা দেখে একটি চক্র হতাশায় ভুগছে। তারা আমীরে জামায়াতের বক্তব্যকে নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমীরে জামায়াত ডা. শফিকুর রহমান বলেছিলেন, জামায়াতে ইসলামীর সাথে দলীয়ভাবে যে সকল অন্যায় করা হয়েছে তার কোনো প্রতিশোধ জামায়াত নেবে না এবং ক্ষমা করে দিয়েছে। কিন্তু জাতির সাথে বা কোনো ব্যক্তির সাথে যে সকল অপরাধ করা হয়েছে, সেসব অপরাধের বিচার ও শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। যেন বিচারহীনতার সংস্কৃতি বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত না হয়। আমীরে জামায়াতের এই বক্তব্য থেকে স্পষ্ট প্রতিয়মান হয় যে, তিনি আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। কেউ যেন প্রতিশোধের আগুনে আইন নিজের হাতে তুলে না নেয় তারই ইঙ্গিত দিয়েছেন। অতীতেও জামায়াতকে নিয়ে নানা রকম ষড়যন্ত্র হয়েছে কিন্তু জামায়াতের অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করা যায়নি বর্তমানেও তারা সফল হবেনা ইনশাআল্লাহ। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সকল ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙ্গা জবাব দেওয়া হবে।
আজ সকালে রাজধানীর মুগদার এক কনভেনশন হলে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সবুজবাগ-মুগদা জোনের রুকন সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. নুরুল ইসলাম বুলবুল এসব কথা বলেন। কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য মুহাম্মদ শামছুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রুকন সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য মুহাম্মদ মনির হোসাইন, মতিউর রহমান, আব্দুল বারী, বনি ইয়ামিন, রওশন জামান, এডভোকেট রিয়াজুল ইসলাম সহ জোনের বিভিন্ন থানা আমীর-সেক্রেটারি ও বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
নূরুল ইসলাম বুলবুল বলেন, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত জুলাই বিপ্লবের অর্জনকে নস্যাৎ করার জন্য দেশে বহুমুখী চক্রান্ত চলছে। সেই অপতৎপরতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। কোন দুর্নীতিবাজ, চাঁদাবাজ এবং সন্ত্রসী এই বিজয়কে নস্যাৎ করতে পারবে না। গণ অভ্যুত্থানের অর্জনকে কোনো অপশক্তি নষ্ট করতে চাইলে জামায়াতে ইসলামী ও দেশপ্রেমিক সচেতন নাগরিকেরা তা প্রতিহত করবে ইনশাআল্লাহ।এসময় তিনি নতুন বাংলাদেশ গঠনে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে শহীদ ও আহতদের তালিকা করে তাদেরকে জাতীয় বীর উপাধি দেয়ার দাবি জানান।
অনুষ্ঠানে রুকন সদস্যদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন। পরে রুকন সদস্যরা আগামী সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে এককভাবে নির্বাচন করতে, সকল ইসলামী দলকে জামায়াতের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ও বাম দল ব্যতীত অন্য দলগুলোর সাথে প্রয়োজনে জোট করতে প্রস্তাব করেন।