বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি জননেতা ড. মু. শফিকুল ইসলাম মাসুদ রাজধানীর রমনা এলাকায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ও নগদ অর্থ সহায়তা প্রদান করেন। সোমবার ০৩ জানুয়ারি ২০২২ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের রমনা থানার উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিশে শুরা সদস্য ও রমনা থানা আমীর আব্দুস সাত্তার সুমনের সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি আবু রাইয়ানের সঞ্চালনায় আরও উপস্থিত ছিলেন রমনা থানা শুরা ও কর্মপরিষদ সদস্য এডভোকেট মিজানুর রহমান, যুবনেতা হাফেজ মাওলানা আব্দুর রহমান, সামদানী আলী প্রমুখ।
ড. মু. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাদেরকে নিজেদের কল্যাণ ও অকল্যাণ বুঝার ক্ষমতা দিয়েছেন। সুতরাং মানুষ হিসেবে আমাদেরকে বিবেক দ্বারা বিবেচনা করতে হবে। আল্লাহ বলেন “আমি যাকে ইচ্ছা সম্মানিত করি এবং যাকে ইচ্ছা অপমানিত করি”। সকল কাজে আমরা যদি একমাত্র আল্লাহর দেওয়া বিধান অনুসরণ করে জীবন পরিচালিত করতে পারি তাহলেই পৃথিবীতে শান্তি আসবে। চলমান পরিস্থিতে আমরা করোনা সংক্রমণের ৩য় ধাপ থেকে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাই। একটি কুচক্রী মহল জামায়াতে ইসলামী সম্পর্কে বিভিন্ন ভাবে অপপ্রচার চালাচ্ছে অথচ জামায়াতে ইসলামী ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের কল্যাণের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের পক্ষ হতে আমরা নানাবিধ সহযোগিতা নিয়ে মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছি।
ড. মাসুদ আরও বলেন, অসহায় মানুষের দুর্দশা লাঘবের দায়িত্ব ছিলো রাষ্ট্রের। অথচ আজ রাষ্ট্রের ক্ষমতাসীন দল এতটাই দলীয় অন্ধ যে, অসহায় মানুষের পরিবর্তে নিজেদের দলীয় ও পছন্দের লোক নির্ধারণ করে সরকারি সাহায্য ও সহযোগিতা দেয়। যে কারণে আজ জাতি হিসেবে আমাদের পিছিয়ে পড়তে হচ্ছে। একটি কল্যাণকামী রাষ্ট্র গঠনে এখনই মানুষকে সজাগ হতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এই বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী পরকালীন জবাবদিহীতার চিন্তা নিয়ে সকল মানুষের জন্য একটি কল্যাণ রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। আমাদের দিক নির্দেশনার জন্য রয়েছে মহাগ্রন্থ আল কুরআন। যেখানে মানবজাতির কল্যাণ ও মুক্তির সকল দিক নির্দেশিত রয়েছে। তিনি জামায়াতে ইসলামীর ডাকে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে এগিয়ে আসার আহবান জানান।